শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
গত ২৪ জানুয়ারী ২০১৮ বৃহস্পতিবার ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা পেশ করেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সংগ্রামী সভাপতি মাওলানা সাইফুর রহমান।
আলোচনায় সভায় অংশগ্রহন করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আশফাকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা শামছুল আলম কিয়ামপুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, সিলেট মহানগর যুব জমিয়তের সাবেক সেক্রেটারী ও রোটারিয়ান মাওলানা বদরুল আলম, সহকারী ট্রেজারার মুফতি মুতাহির সিদ্দীক, যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক সহ সভাপতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ হোসাইন আহমদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাছান, মাওলানা নাজির উদ্দীন, হাফিজ মিফতাহ প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সংগ্রামী সভাপতি মাওলানা সাইফুর রহমান বলেন, আজ ২৪ জানুয়ারি উপমহাদেশের প্রাচীনতম বিপ্লবী কাফেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের অঙ্গসংগঠন ছাত্রজমিয়ত বাংলাদেশর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রজমিয়ত বাংলাদেশ একটি আদর্শবাহী ছাত্রসংগঠন। ব্যতিক্রমধর্মী রাজনৈতিক কাফেলা। যার রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য। নব্বইয়ের দশকে যখন ক্যাম্পাসগুলোতে চলছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি। কুমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে যখন বই-খাতার পরিবর্তে সহপাঠী হত্যার উপকরণ শোভা পাচ্ছিল। ঠিক সেই মূহুর্তে “সন্ত্রাস নয় সম্প্রীতি ছাত্রজমিয়তের মূলনীতি” স্লোগানকে সামনে রেখে “ব্যক্তিগঠন ইসলামী শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসুন”-এর সবক নিয়ে ছাত্র জমিয়তের শুভযাত্রা। হাটি হাটি পা পা করে ছাত্র জমিয়ত আজ দেশের প্রথম সারির আদর্শবাহী এক ছাত্রসংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছাত্র জমিয়ত ব্যক্তিগঠনের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্র জমিয়ত বদ্ধপরিকর। আজকের ছাত্র সমাজকে আগামি দিনের নেতৃত্ব দিতে হলে অবশ্যই জ্ঞান-বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখতে হবে। বিশ্বায়নের এযুগে বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।